চোখের শুষ্কতা ব অনেক সময় এলার্জির জন্যও জ্বালাপোড়া বা ব্যথা হয়ে থাকে। এই ব্যথা শুধু চোখেই সীমাবদ্ধ থাকে না, ছড়িয়ে পড়ে মাথায়ও। তাই জেনে রাখা ভালো চোখের জ্বালাপোড়া বা ব্যথা কমানোর কিছু উপায়।

বর্তমান সময়ে আমরা সবাই অনেকটা স্মার্টফোন নির্ভর হয়ে গেছি। সারাদিন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি স্মার্টফোনের পর্দায়। এছাড়াও কম্পিউটার মনিটরের পর্দায়ও তাকিয়ে কাজ করা হয়ে। যদিও বর্তমান সময়ে কম্পিউটার বা ফোনের স্ক্রিন অনেকটা চোখবান্ধব করেই তৈরি। এরপরেও হতে পারে চোখে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা। চোখের এমন সমস্যার জন্য আপনি কিছু ঘরোয়া সমাধ্নের উপর ভরসা রাখতে পারেন।

১. চোখের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে চোখ পরিষ্কার রাখা। এর জন্য সামান্য কুসুম গরম পানি বা ঠান্ডা পানিতে তুলা ভিজিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে পারেন। এই তুলা দিয়ে চোখের পাতা ও পাপড়ি ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। আর দিনে যতবার সম্ভব হয়, চোখে পানির ঝাপটা দিতে পারেন।

২. সামুদ্রিক মাছের তেলে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা চোখের জন্য অত্যান্ত উপকারী। তাই নিয়মিত সামুদ্রিক মাছের তেল খাওয়া উচিৎ। সেটা সম্ভব না হলেও নিয়মিত সাপলিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড চোখের মেইবোমিয়ান গ্ল্যান্ড ভালো রাখে। চোখের পাতার একদম কোণায় এই গ্রন্থি থাকে।

৩. সারাদিন কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কাজ করলে চোখের উপর পড়ে প্রচুর চাপ। এই চাপ কমাতে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন আই ড্রপ। এইসব আই ড্রপ একই সাথে আপনার চোখকে রাখবে জীবানুমুক্ত ও সিক্ত। তবে ড্রপ ব্যবহারের পর অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে।

৪. সারাদিনে প্রচুর পানি পান করতে হবে। প্রচুর পানি পান করে শুধু চোখ নয়, শরীরের একাধিক সমস্যার সমাধান ঘটবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করলে বেড়ে যায় চোখের শুষ্কতা ও কমে যায় দৃষ্টিশক্তি।

৫. সকাল বেলার রোদে থাকে প্রচুর ভিটামিন ডি। কিন্তু অনেকের গায়েই সেই রোদ লাগে না। ভিটামিন ডি এর অভাবেও হতে পারে চোখের বিভিন্ন সমস্যা। তাই রোদ পোহানো সম্ভব না হলেও ভিটামিন ডি সাপলিমেন্ট গ্রহণ করা উচিৎ।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten + 10 =