এবারও রাজধানীর আগারগাঁওয়েই হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। এই মেলাকে কেন্দ্র করে মাসখানেক আগেই এখানে অবকাঠামো তৈরির কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরো (ইপিবি)। মেলা প্রাঙ্গণজুড়ে রাস্তা, কার্যালয়, চারপাশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ও নিরাপত্তা টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে চলছে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের স্টল নির্মাণের কাজও। ২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারি দেশের সবচেয়ে বড় এই বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইপিবি সূত্র বলছে, গত বছরের চেয়ে এবারের বাণিজ্যমেলায় স্টল সংখ্যা কমেছে ১০৯টি। এবার ৪৪১টি স্টল থাকছে। গত বছর স্টল সংখ্যা ছিল ৫৫০টি। এবার প্রিমিয়াম প্যাভিলিয়ন ৬১টি, প্রিমিয়াম মিনি প্যাভিলিয়ন ৪৭টি, সাধারণ প্যাভিলিয়ন ১১টি, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন ৭৫টি, প্রিমিয়াম স্টল ৮৪টি, রেস্টুরেন্ট দুইটি, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন আটটি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন ছয়টি, বিদেশি প্যাভিলিয়ন ২৬টি, বিদেশি মিনি প্যাভিলিয়ন ১১টি, বিদেশি প্রিমিয়াম স্টল ১৭টি, স্ন্যাকস বুথ আটটি ও ফুড স্টল ৩৫টি। এছাড়া সাধারণ স্টল ৫০টির মধ্যে নারীদের জন্য রয়েছে ২০টি স্টল। বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫তম ঢাকা আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যমেলায় ২৮টি দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ভুটান, নেপাল, মরিশাস, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, জাপান, ইতালি, দুবাই, ডেনমার্ক, নিউজল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ব্রাজিল, ফিলিপাইন, রাশিয়া, জার্মানি, তাইওয়ান ও চীনা বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকং। বুধবার মেলার মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মেলা প্রাঙ্গণজুড়ে রাখা হয়েছে ইট ও নির্মাণ সামগ্রী। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এসে কাজ তদারকি করছেন। মেলায় অংশ নিতে ইচ্ছুক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজেদের স্টল নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছে। ইতোমধ্যে বড় প্রতিষ্ঠানের স্টলগুলো অনেকটা দৃশ্যমান। নির্মাণ শ্রমিকরা অবিরাম কাজ করছেন। বড় স্টলগুলো নান্দনিক স্থাপত্যে লোহা ও ইটের সমন্বয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গণে চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়ার অংশ হিসেবে চলছে লোহার পিলার বসানোর কাজ।

এছাড়া নিরাপত্তা টাওয়ার, ফোয়ারা, পার্ক, ফুড পার্ক, টয়লেট ও সড়ক মেরামতের কাজও চলছে। এ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্মাণ শ্রমিক ও কৌশলীরা। তবে এবারের বাণিজ্যমেলার প্রধান ফটক নির্মাণের কাজ এখনও শুরু হয়নি। মেলায় থাকছে মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্ক, এটিএম বুথ, রেডিমেট গার্মেন্টস, হোমটেক্স, ফেব্রিক্স পণ্য, হস্তশিল্পজাত দ্রব্য, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, গৃহস্থালি পণ্য, উপহার সামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ক্রোকারিজ, তৈজসপত্র, সিরামিক, পস্নাস্টিক, পলিমার পণ্য, কসমেটিকস, হার্বাল পণ্য ও প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি, নির্মাণ সামগ্রী এবং ফার্নিচারের স্টল।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four + seventeen =