নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল খায়ের বেলালী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার বিকেল তিনটার দিকে পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় তাঁকে জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের হাকিম সোহেল ম্রং–এর কাছে জবানবন্দি দেওয়ার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে বেলালীকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বেলালীর জবানবন্দির বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন মামলা দুটির তদন্তকারী কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রাজ্জাক ও মো. আহাদুর। আবুল খায়ের বেলালী কেন্দুয়া পৌরশহরের একটি মহিলা কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। তাঁর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাওয়ের গোনাকানি গ্রামে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আবুল খায়ের বেলালী মাদ্রাসাটির একটি কক্ষে থাকতেন। আবাসিক হওয়ায় ওই মাদ্রাসাটিতে বেশ কয়েকজন এতিম-অসহায় শিক্ষার্থীও থেকে লেখাপড়া করে আসছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল নয়টার দিকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অধ্যক্ষ তাঁর কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে এবং ওই শিক্ষক কে গণ পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় । এ ঘটনায় ওই দিন বিকেলে শিশুটির চাচা বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

এদিকে, ওই শিক্ষককে আটকের পর একই মাদ্রাসার আরেক ছাত্রী অভিযোগ তুলে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে বেলালী তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি কাউকে যেন না জানানো হয় সে-জন্য ছাত্রীটিকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এ ঘটনায় এই ছাত্রীর বাবা শুক্রবার রাতে বেলালীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আরেকটি মামলা করেন।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten + four =