পাঠকরা মুখিয়ে থাকেন ফেব্রুয়ারির অমর একুশে বইমেলার জন্য। বইপ্রেমীরা ছুটে যান রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে। কিন্তু এবার ব্যতিক্রমী বইমেলার আয়োজন করেছেন শ্রাবণ প্রকাশনী। তাদের ভ্রাম্যমাণ বইমেলা চলছে বছরজুড়ে। আর তা চলে যাচ্ছে পাঠকদের দুয়ারে দুয়ারে।
‘মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত যত বই, ইতিহাস ধরবো তুলে, বই যাবে তৃণমূলে’ এই শ্লোগান সামনে রেখে চলছে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে ‘মুক্তিযুদ্ধের ভ্রাম্যমাণ বইমেলা’। বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের অফিসের সামনে যাচ্ছে ‘শ্রাবণ বইগাড়ি’। মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত বই নিয়ে সোমবার ‘শ্রাবণ বইগাড়ি’ দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যমুনা টিভি ও যুগান্তর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে।
ভ্রাম্যমাণ ওই বইমেলায় একাত্তরের দিনগুলি, মুক্তধারা-৭১, আমার বন্ধু রাশেদ, আমি বীরাঙ্গনা বলছি, একাত্তরের ডায়েরিসহ রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের প্রায় সাড়ে ৪ শ’ বইয়ের সমাহার। শ্রাবণ প্রকাশনের রবিন আহসান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত বইয়ে ২০% ছাড় এবং শ্রাবণ প্রকাশনীর সব বইয়ে ৪০% ছাড়।
তিনি জানান, সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের সামনে ‘শ্রাবণ বইগাড়ি’ গিয়েছে। এতে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি আমরা। আমরা চাই, মানুষ অনলাইন বিমুখ হয়ে বই পড়ুক।
শ্রাবণ বইগাড়ি নিয়ে আপ্লুত শ্রাবণ প্রকাশনীর কর্ণধার রবিন আহসান আরও বলেন, “এক তরুণ মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন মালিবাগ থেকে। হঠাৎ শ্রাবণ বইগাড়ি দেখে চিৎকার- ‘থামান আমার দুইটা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ লাগবে।’ আমরা ক্লান্ত আমি ড্রাইভারকে বল্লাম থামান। ভ্রাম্যমাণ বইমেলার কাজ তো এরকমই।”
শ্রাবণ প্রকাশনীর কর্ণধার রবিন আহসান যুগান্তরকে আরও জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ভ্রাম্যমাণ এ বইমেলার পর তারা ক্রমান্বয়ে বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীন আহমেদকে নিয়ে লেখা বইগুলোও সারা দেশের মানুষকে পড়াতে এ ধরনের উদ্যোগ নেবেন।