সারাদেশে এ পর্যন্ত এক কোটি এক লাখ এক হাজার ৭৯১ জন অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা (কোভিশিল্ড) নিয়েছেন। আর চীনের সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন ৩২ হাজার ৬৮৮ জন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৬৩ লাখ ৪৪ হাজার ২০৭ এবং নারী ৩৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৮৪ জন। তাদের মধ্যে ৪২ লাখ ৮১ হাজার ৭৭৬ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ২৭ লাখ ৩৫ হাজার ১৪২ এবং নারী ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৬৩৪ জন। আর প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৬৫ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০ জন।
এদিকে গত শনিবার থেকে চীনের উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে গণটিকাদান কর্মসূচিতে সারাদেশে এ পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩২ হাজার ৬৮৮ জন। তাদের মধ্যে ১৪ হাজার ৯৪৮ জন পুরুষ এবং ১৭ হাজার ৭৪০ জন নারী।
সিনোফার্মের প্রথম চালান আসার পর গত ২৫ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী অনন্যা সালাম সমতাকে টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় ধরনের টিকার আনুষ্ঠানিক প্রয়োগ শুরু হয়। চীনের সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে ১১ লাখ। এই টিকা দুই ডোজ করে সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষকে দেয়া যাবে।
এছাড়া গত সোমবার থেকে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ঢাকার তিনটি হাসপাতালে এই টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়। হাসপাতালগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ), ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো-লিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। এই টিকা নিয়েছেন ২৪০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৩৮ ও নারী ১০২ জন। এর মধ্যে বিএসএমএমইউতে ৮৪ হাজার, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো-লিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ৭৮ জন করে টিকা নিয়েছেন।