রাজধানীতে রোববার সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। ছাতা কিংবা রেইনকোট ছাড়া যারা বাসা থেকে বেরিয়েছেন, তাদের অনেককেই ভিজতে হয়েছে বৃষ্টিতে।

রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার দুপুর ১টা পরবর্তী সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছিল, রাজধানীতে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইতে পারে। যা অস্থায়ীভাবে ২৫ থেকে ৩৫ কিলোমিটার গতিতেও বইতে পারে।

আর আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে বলেও জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস এই পূর্বাভাস দেয়ার পর রাজধানীর আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হয় বৃষ্টি।

শনিবার রাজধানীতে ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার দুপুর ১টার আগের ৬ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৫ মিলিমিটার।

বর্ষার এ বৃষ্টিকে আন্তরিকভাবেই নিয়েছেন রাজধানীবাসী। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে রাজধানীর কাওরান বাজারের বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রজাপতি আন্ডারপাসের কাছাকাছি ফুটপাতে বসে এক সিম বিক্রেতার বড় ছাতার নিচে আশ্রয় নেন বেশ কয়েকজন পথচারী। ছাতার নিচে আসার আগেই খানিকটা ভিজে যাওয়ায় একজন বৃষ্টির প্রতি হালকা ক্ষোভ ঝাড়েন। তখন আরেকজন বলেন, ‘এইভাবে বলবেন না ভাই। বৃষ্টি আলস্নাহর নিয়ামত। বর্ষাকাল শুরু হয়ে গেছে, বৃষ্টি না হলে চলবে?’

অর্ধভেজা আশ্রিতদের অনেকেই তখন দ্বিতীয় ব্যক্তিকে সমর্থন করেন। তখন ক্ষোভ প্রকাশ করা ব্যক্তিও যেন তা মেনে নেন। এরপর তাদের মাঝে আবার শুরু হয়ে যায় আষাঢ়ের কতদিন, সেই তর্ক।

তখনও বৃষ্টি ঝরেই চলছিল। অনেকে ছাতায় করে, কেউ কেউ ভিজে ভিজেই পথ চলছিলেন। যানজটে আটকা পড়া মোটরসাইকেল আরোহীদের কেউ কেউ রাস্তায় যানটি রেখে আশ্রয় নেন আশপাশের বিভিন্ন ছাদের নিচে।

দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। ঢাকায় সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে সূর্যাস্ত হয় এবং সোমবার সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা বেজে ১৭ মিনিটে।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one + sixteen =