নার্সের হাতে ইন্টার্ন চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিসহ ক্লাস, পরীক্ষা ও আউটডোরে রোগী দেখা বর্জন করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন দুই হাজারেরও বেশি রোগী।

বুধবার সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়। এদিন সকালে হাসপাতাল চত্বরে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে ডেন্টাল চিকিৎসক পরিষদও একই দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘নার্সরা শুধু আমাদের ইন্টার্ন চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলেনি, তারা আমাদের শিক্ষকদেরও লাঞ্ছিত করেছে। দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা হাসপাতালে কর্মবিরতিসহ ক্লাস, পরীক্ষা, আউটডোরে রোগী দেখা বন্ধ রাখব।’

এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শাহাদত হোসেন বলেন, যে ব্যক্তি মারামারিতে সরাসরি জড়িত ছিল, তাকে বদলির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন করে কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। মঙ্গলবার নার্স ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি সুরাহা করা হয়েছে।

গত সোমবার হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে এক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক নার্স ও ইন্টার্ন চিকিৎসকের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার সকালে ডেন্টাল ইউনিটের এক চিকিৎসককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন নার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seven + four =