কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে এখনো বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যেই ১২ জুন শুক্রবার আটলান্টায় পুলিশের গুলিতে নিহত হলেন রেইশার্ড ব্রুকস নামে আরেক কৃষ্ণাঙ্গ। এ ঘটনা যেন বিক্ষোভের আগুনকে দাবানলে পরিনত করলো। আটলান্টার রাজপথে নামে বিপুলসংখ্যক আন্দোলনকারী। এ সময় অন্তত ৩৬ জনকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেছেন আটলান্টা পুলিশের মুখপাত্র। এ ঘটনায় এরই মধ্যে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন আটলান্টার পুলিশ প্রধান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

রেইশার্ড ব্রুকস-কে যেখানে হত্যা করা হয় সেখানে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। ব্রুকস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের একজনকে ইতোমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে। আরেকজনকে প্রশাসনিক দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে।

১২ জুন শুক্রবার রাতে ওয়েন্ডির একটি ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টের কাছে নিজের গাড়িতে ঘুমিয়েছিলেন রেইশার্ড ব্রুকস। রেস্টুরেন্ট কর্মীরা পুলিশকে ফোন করে অভিযোগ জানায় যে, এভাবে শুয়ে থাকায় তাদের গ্রাহকরা ওই লেনে গাড়ি চালাতে পারছে না।

রেস্টুরেন্টের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা গেছে, দৌঁড়ানো অবস্থায় ঘুরে পেছনে আসা দুই পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে একজনের দিকে সম্ভবত টেইজার গান তাক করছেন ব্রুকস আর দুই পুলিশের মধ্যে কোনো একজনের গুলিতে তিনি লুটিয়ে পড়ছেন। আইনজীবীর দাবি, ব্রুকস পুলিশের বিরুদ্ধে টেইজার গান ব্যবহার করলেও আটলান্টা পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার কোনো অধিকার ছিল না, কারণ টেইজার প্রাণঘাতী অস্ত্র নয়। এ হত্যাকাণ্ডের জেরে শনিবার আটলান্টার একটি প্রধান মহাসড়ক বন্ধ করে দেয় বিক্ষোভকারীরা। তারা ওয়েন্ডির ওই রেস্টুরেন্টে আগুন ধরিয়ে দেয়।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 + ten =