বুধবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ফেনীতে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ফেসবুক লাইভে দর্শকদের সামনে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বারাহীপুর পূর্ববাড়ি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এই হত্যাকান্ডের পরপরই ওবায়দুল হক টুটুল(৩৫) নামে ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মুহূর্তেই হত্যাকান্ডের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। ফেনীর পুলিশ সুপার খন্দকার নূরুন্নবী বলেন, বিকাল ৩টার দিকে অভিযুক্ত টুটুলকে আটক করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরেই এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। ভিডিওতে অভিযুক্ত হত্যাকারী যে বর্ণনা দেন, তাতেও পারিবারিক কলহের বিষয়টি আন্দাজ করা যায়। পুলিশ বলছে, আটক ব্যক্তিটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নূরুন্নবী বলেন, ‘ঘটনার তাৎক্ষণিকতা এত বেশি যে আমরা ভাবতেই পারিনা যে এমন কিছু ঘটতে পারে। এখানে পারিবারিক, মানসিক সবদিক খুঁটিয়ে দেখা হবে। নিহত গৃহবধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার ব্যাপারে বিস্তারিত এখনো কিছু জানা যায়নি।’ তবে পুলিশ বলছে, তারা নিশ্চিত যে তাদের হাতে আটক ব্যক্তিটিই খুনটি করেছেন, কারণ তিনি হত্যাকান্ডটি ফেসবুক লাইভে দর্শকদের সামনেই ঘটিয়েছেন। বহু মানুষ এটি দেখেছে। ঘটনার ভিডিও প্রমাণ রয়ে গেছে।

অভিযুক্ত হত্যাকারী অবশ্য হত্যাকান্ডের কিছু পরেই ভিডিওটি নিজের ফেসবুক ওয়াল থেকে সরিয়ে নেন। কিন্তু এখন অনেকেই ভিডিও শেয়ার করছে এবং উলেস্নখ করছে, ডিলিট হওয়ার আগেই ভিডিওটি তারা ডাউনলোড করে রেখেছিলেন।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃত টুটুল ঘরের মধ্যে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। মাঝেমধ্যে তিনি তার কৃতকর্মের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরছেন। একপর্যায়ে ধারালো কিছু একটা নিয়ে কেউ একজনকে উপর্যুপরি আঘাত করেন। কিছুক্ষণ পর একজন নারীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় মাটিতে।পরে আরও একটি ভিডিওতে অবতীর্ণ হয় অভিযুক্ত টুটুল। সেখানে তার কোলে ছোট্ট একটি শিশুকে দেখা যায়। শিশুটিকে নিজের মেয়ে বলে উলেস্নখ করেন তিনি।

পুলিশ বলছে, শিশুটি এখন তার দাদির হেফাজতে আছে। এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four + 9 =