ধর্ষণের শিকার এক এসএসসি পরীক্ষার্থী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নে। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য সোমবার স্থানীয় কয়েকজন মাতব্বর সালিশে মিমাংসার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসি জানায়, ধামরাইয়ের কান্টাহাটি এলাকার এক এসএসসি পরীক্ষার্থী সাত মাস আগে পাশের বাড়িতে টেলিভিশন দেখতে যায়। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কান্টাহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি শামীম হোসেন ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে বললে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন শামীম। এরপর ওই মেয়ে বিষয়টি আর কাউকে বলেনি। এক পর্যায়ে মেয়েটির শারীরিক অবস্থা দেখে সন্দেহ করেন পরিবারের লোকজন। এরপর গত বুধবার স্থানীয় একটি হাসপাতালে পরীক্ষা করার পর অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানতে পারেন। এসময় মেয়েটি পাশের বাড়ির শামীম হোসেন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন বলে জানায়। এরপর পরিবারের লোকজন মামলা করার প্রস্তুতি নিলে সোমবার স্থানীয় মাতব্বর আলীম উদ্দিন বিষয়টি মিমাংসার করার জন্য স্থানীয় জামিল হোসেনের বাড়িতে সালিশ বসান।

এলাকাবাসি জানায়, সালিশে শামীম হোসেনের সঙ্গে ১৫ লাখ টাকা কাবিন ও ২০ শতাংশ জমি লিখে দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। এসময় শামীমের প্রথম স্ত্রী তাতে বাধা দেন। এক পর্যায় সালিশ ফের মঙ্গলবার রাতে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্কুলছাত্রীর মামা বলেন, মামলা করতে না দিয়ে এলাকার মাতব্বররা মিমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শামীম বলেন, জমি নিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে মেয়েটি আমার নাম বলছে। তবে বিচারে মাতাব্বররা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা মানেন কিনা জানতে চাইলে কোন কথা বলেননি শামীম। এ ব্যপারে মাতব্বর আলীম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে জামিলের বাড়িতে আমরা ১৫-১৬ জন বসেছিলাম। কিন্তু সমাধান হয়নি। আবার মঙ্গলবার রাতে বসা হবে।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nine + 12 =