ডেঙ্গু বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, দ্রম্নততম সময়ে নাগরিকদের জন্য ডেঙ্গুমুক্ত শহর নিশ্চিত করা হবে । সোমবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘বিশেষ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাপক্ষ ২০১৯’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে  মেয়র এ কথা বলেন। সেবাপক্ষের উদ্বোধক এবং প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বিগত দু-তিন বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কিছুটা বেশি, তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শতকরা ৯৮ ভাগ ডেঙ্গু রোগীর জ্বর ৮ থেকে ১৯ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তিনি বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় এরইমধ্যে ৬৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ৪৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যুক্ত করা হয়েছে। এরা ডেঙ্গুর বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন করে তুলছে। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, পয়লা জুলাই থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু মোকাবেলায় সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। ডেঙ্গু নিধনের বিশেষ কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। ওষুধ ছিটানো হচ্ছে, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। সাঈদ খোকন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রোববার (১৪ জুলাই) বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৪২৪৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখানে লক্ষণীয় যে তারা শুধুমাত্র ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা নয়। তারা সারা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। এরইমধ্যে তাদের অধিকাংশই চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে গিয়েছেন। মেয়র আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের এলাকার কোনো নাগরিক ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া কিংবা বর্ষাকালীন রোগে আক্রান্ত হলে তারা হট লাইনে (০৯৬১১০০০৯৯৯) কল করলে আমাদের মেডিকেল টিমের সদস্যরা বাড়িতে গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং ওষুধ দেবেন। কেউ যদি মনে করেন তিনি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত নন, তবে আশঙ্কা করছেন তিনিও সেবা নিতে পারবেন। এ ছাড়াও যেকোনো প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হবে নাগরিকদের। সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে ডেঙ্গুর লার্ভা ধ্বংসে কাজ করবেন। এজন্য নাগরিকদের তাদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মেয়র। আরও একটি বিষয় উলেস্নখ করে মেয়র বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগ ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃতু্যর সংখ্যা তিনজন বলা হলেও, কিছু পত্র-পত্রিকা সেটি ১১ জন বলে উলেস্নখ করেছে। মিডিয়ার বন্ধুদের কাছে অনুরোধ করে মেয়র বলেন, অসমর্থিত কোনো সূত্র এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন কোনো চিকিৎসকের বরাত দিয়ে কোনো সংবাদ পরিবেশন করবেন না, যাতে জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সঞ্চার হয়। ‘বিশেষ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাপক্ষ ২০১৯’ সেবা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরিফ আহমেদ এবং সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × 1 =