ঢাকাই ছবির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন শাকিব খান। গত কয়েক বছর ধরে এটি চলমান। শাকিব খান মানেই হলমালিক ও পরিবেশকদের কাছে ব্যবসার আস্থা। আর ভক্তদের কাছে বিশাল ধামাকা। গত এক দশকে তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত বেশিরভাগ ছবির ক্ষেত্রে এমন চিত্রই দেখা গেছে। হাতেগোনা কয়েকটি ছবি ব্যবসায়িকভাবে সফল হতে না পারলেও ক্ষতির মুখে পড়েনি।
তাই আস্থার আরেক নাম শাকিব খান-চিত্রপুরিতে অনেকের মুখে এমন কথা অহরহ শোনা যায়। বিষয়টি আরও একবার প্রমাণিত হচ্ছে এবার। আগামীকাল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত ছবি ‘নবাব এলএলবি’। করোনার মধ্যে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহ এ ছবির মাধ্যমে আবার চালু হচ্ছে বলেই খবর প্রকাশ হয়েছে।
গত বছর মার্চের শেষদিকে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর অন্য সবার মতো এ নায়কও দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকেন। একই বছরের শেষ দিকে ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেই এ সময়ের আলোচিত নির্মাতা অনন্য মামুন শাকিব খানকে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘নবাব এলএলবি’ নামে একটি ছবি। এ ছবির মাধ্যমে ঘরবন্দি থাকার দীর্ঘ সাত মাস পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান শাকিব। টানা কাজ করে শেষও করে দেন। যদিও কাজচলতি কিছু ঝুট-ঝামেলা হয়েছে।
এরপর ছবিটি অনলাইন প্ল্যাটফরমে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পরিচালক ও প্রযোজক। যদিও এতে শাকিবের খুব বেশি সায় ছিল না। তবুও বাংলাদেশে অনলাইন প্ল্যাটফরমে নতুন ছবি মুক্তি দিলে রেসপন্স কেমন আসে, সেটি দেখার জন্য এক্সপেরিমেন্ট হিসাবেই দেখতে চেয়েছেন বিষয়টি। আই থিয়েটার নামে একটি প্ল্যাটফরমে ছবিটি মুক্তিও পায়। তবে দুই খণ্ডে। এ নিয়ে বিতর্কও হয়েছে বেশ। খোদ নায়কই ছিলেন নাখোশ। অবশেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির খবরে সব অভিমানের বরফ গলে ছবিটি নিয়ে আবারও মেতে উঠেছেন শাকিব খান। ফেসবুকে নিজেও ভেরিফাইড পেজে ‘নবাব এলএলবি’ নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। শাকিবের উচ্ছ্বাসের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হলমালিকরাও। আশায় বুক বেঁধেছেন তারাও।
এদিকে নির্মাতা অনন্য মামুন জানিয়েছেন ৩০টির মতো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ছবিটি। এর মধ্য ৬-৭টি প্রেক্ষাগৃহ খুলছে শুধু এ ছবির মুক্তিকে কেন্দ্র করে। তার মধ্যে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী প্রেক্ষাগৃহ ‘মধুমিতা’ও রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মধুমিতার কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘ভালো কোনো ছবি মুক্তি না পাওয়ায় আমরা হল বন্ধ রেখেছিলাম। শাকিব খানের ছবিটি দিয়ে ১৪ মাস পর মধুমিতার পর্দা উঠছে। আমার বিশ্বাস, দর্শক কিছুটা হলেও সিনেমামুখী হবেন।’ এ হলমালিক আরও জানান, শাকিব খানের এ ছবিটি তারা পরীক্ষামূলকভাবে প্রদর্শন করবেন। এরপর যদি কুরবানির ঈদে বড় আয়োজনের কোনো ছবি মুক্তি পায় তাহলে সেটি চালাবেন; নতুবা আবারও প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করে দেবেন।