বেড়ানোর কথা বলে গৃহবধূকে বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুতে এনে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে। বিষয়টি টের পেয়ে সেতুতে থাকা লোকজন সঙ্গে সঙ্গে রিপনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। শনিবার রাতের এই ঘটনায় রোববার বুড়িগঙ্গা থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম কানিজ ফাতেমা সাম্মু।

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাম্মু ও রিপনের পারিবারিকভাবে ২০০৭ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তারা ৬০-৬১ মিলব্যারাক কে বি রোডে রিপনদের নিজ বাড়িতেই বসবাস করতেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে কলহ লেগে থাকত। দীর্ঘদিন বিয়ে হলেও তাদের কোনো সন্তান হয়নি। শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে ঘুরতে বের হওয়ার কথা বলে স্ত্রী সাম্মুকে নিয়ে পোস্তগোলা চীন-মৈত্রী সেতুর ওপরে আসে। সেতুর মাঝামাঝি এলে একপর্যায়ে রিপন স্ত্রী সাম্মুকে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। ঘটনাটি সেতুর ওপর থাকা পথচারীদের নজরে এলে তারা রিপনকে আটক করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে রিপনকে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে সাম্মুর পরিবারের লোকজন সারারাত নদীর পাড়ে সাম্মুকে খুঁজতে থাকেন। রোববার সকালে হাসনাবাদ মোকামপাড়া এলাকায় সাম্মুর লাশ ভেসে ওঠে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ জামান বলেন, এ ঘটনায় নিহত সাম্মুর ছোট বোন রিফাত ফাতেমা মামলা করেছেন। এরই মধ্যে রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × 3 =