দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যদি তিনি (খালেদা জিয়া) মুক্তি পান, তাহলেই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, সেই আন্দোলনে সব মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতাকর্মীদের প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে বিএনপিপন্থি পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা গতকাল সকাল ৯টা থেকে তিন ঘণ্টাব্যাপী অনশন করেন। মির্জা ফখরুল এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না তাদের অনশন ভঙ্গ করান।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ এখন অগণতান্ত্রিক পরিবেশ থেকে মুক্তি চায়। এই মুক্তির দাবি পুরোপুরি একাকার হয়ে গেছে খালেদা জিয়ার মুক্তির সঙ্গে। তিনি মুক্তি পেলেই গণতন্ত্র মুক্ত হবে। এজন্য আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার বিষয়টি সাজানো ঘটনা ছিল দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের নিজেদের গোলাগুলির ঘটনার ২৫ বছর পর নতুন করে চার্জশিট দিয়ে নতুন নতুন নাম ঢুকিয়ে রায় দেওয়া হলো। এ রায় প্রমাণ করে, দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। জামিনযোগ্য মামলায় খালেদা জিয়াকে জামিন না দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, সরকার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে এলএনজি আমদানির নামে তাদের লোকজনকে অর্থ লোপাটের ব্যবস্থা করেছে। দুর্নীতিকে পাকাপোক্ত করতেই এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। লুটপাটের অতিরিক্ত ভর্তুকির টাকা জনগণের কাছ থেকে আদায় করার অপকৌশল নিয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় অনশন কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সদস্য সচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের (একাংশ) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ড্যাবের আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।