করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার পর্যন্ত ২৭৬৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৯৭০ জন। শুধু চীনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৭১৫ জন। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, চীনে মঙ্গলবার নতুন করে ৪০৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৬৪ জন।
চীনের বাইরে অন্তত ৩০টি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এতদিন চীনসহ এশিয়াতেই সীমিত ছিল। কিন্তু এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। খবর রয়টার্সের
ইতালিতে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে আর আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৩ জন। বুধবার ইন্সবার্কের আলপাইন পর্যটন কেন্দ্রের গ্র্যান্ড হোটেল ‘ইউরোপা বন্ধ’ ঘোষণা করা হয়েছে।
মিলান এবং ভেনিস শহরের কাছে দুটি উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হটস্পট বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভেনেতো এবং লোম্বার্ডি অঞ্চলের একাধিক শহর লকডাউন করা হয়েছে।
বন্ধ করে দেওয়া এলাকার বাইরেও বহু স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মিলান শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি অঞ্চলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে লোকজনকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।
এরইমধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ইতালির কার্নিভাল (উৎসব) বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু শহরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে প্রাণহানি হয়েছে ইরানে ১৬ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১১ জন, জাপানে ৫ জন, হংকংয়ে ২ জন, ফিলিপাইনে ১ জন, ফ্রান্সে ১ জন ও তাইওয়ানে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১৪৬ জন। রাজধানী ছাড়িয়ে এটি ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দেশে।
অন্যদিকে ইরানে এ পর্যন্ত প্রায় ৯৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তার মধ্যে মারা গেছেন ১৬ জন। সংক্রমণের কেন্দ্রে আছে পবিত্র নগরী কোম এবং সেখানে তীর্থযাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইরানের অনেক এলাকা এখন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে কয়েকটি দেশ। রাজধানী তেহরানে কাজের সময়ও অপেক্ষাকৃত কম ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ১০টি প্রদেশে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।