আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক্স পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনারও শুভ উদ্বোধন করেন। তিনি নব-নির্মিত ই-পাসপোর্ট ভবনের ফলক উম্মোচন এবং ই পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়া ও ই-গেট পরিদর্শন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ই-পাসপোর্ট হস্তান্তর করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্ট চালু করতে সক্ষম হয়েছে। এই প্রকল্পের ফলে বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ১৯৯৬ সাল থেকে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তখন শেষ করতে পারিনি। পরে ক্ষমতায় এসে সেগুলো করি। আজকে প্রায় সমগ্র বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেব দিতে সক্ষম হয়েছি। আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষিত জাতি হিসেবে বাংলাদেশ যেন গড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জনগণ আমাদের সঙ্গে ছিলেন বলেই আমরা এতকিছু করতে পেরেছি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ই-পাসপোর্ট চালুর ঘোষণা দেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ‘ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮ সালের জুলাইতে জার্মানির সঙ্গে জি টু জি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
Please enter your name here

10 + 9 =