ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার রাতে নাজাফে ইরানি দূতাবাসে অগ্নিসংযোগের পর বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। এরপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নাসিরিয়ায় ২৯ জন, বাগদাদে চারজন ও নাফাজে ১২ জন নিহত হন।

এদিকে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নাজাফ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। গত অক্টোবরে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৬০ জনেরও বেশি। আহত হয়েছে প্রায় দেড় হাজার।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশিরভাগ আবার ইরাকের ওপর ইরানি প্রভাব বিস্তারেরও বিরোধিতা করে আসছে। ইরানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ইরাকিরা হস্তক্ষেপ করে আসছে বলে তাদের অভিযোগ। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে সাদ্দাম হোসেনের পতন হওয়ার পর থেকে দেশটিতে ইরানবিরোধী মনোভাব বাড়তে শুরু করেছে। চলতি মাসে কারবালায়ও ইরানি দূতাবাসে হামলা চালানো হয়। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হয়েছিল।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
Please enter your name here

15 − six =