অবশেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হযে গেল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল)। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অব কন্ট্রোল (বিসিসিআই) জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে পরবর্তী ঘোষণার আগ পর্যন্ত স্থগিত থাকবে আইপিএলের ১৩তম আসর। বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই টি-টোয়েন্টি লিগটি ২৯ মার্চ শুরু হয়ে ২৪ মে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
টুর্নামেন্ট অনির্দিষ্টকাল স্থগিতের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত বুধবার সকালে জানানো হয়েছে আসরে অংশগ্রহণের অপেক্ষায় থাকা ৮ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রত্যেককে। জানিয়েছেন আইপিএলের প্রধান ওপারেটিং অফিসার হেমাঙ্ক আমিন। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে এই কর্মকর্তা জানান, ভারত সরকার দেশ জুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বর্ধিত করেছে ৩ মে পর্যন্ত, তাই নিয়মিত গ্রীষ্মকালীন উইন্ডোতে ইভেন্ট আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা নেই। ২-৩ মাস পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভাবা হবে নতুন করে।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বুধবার আসলেও আইপিএল অনির্দিষ্টকাল স্থগিতের সিদ্ধান্ত চ‚ড়ান্ত হয় মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। সে সময় কনফারেন্স কলের মাধ্যমে একত্রিত হয়েছিলেন বিসিসিআইয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা। চিফ ওপারেটিং অফিসার ছাড়াও দীর্ঘ সময়ের ওই সাইবার মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি, সচিব জয় শাহ, কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল এবং আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল। তাদের সহমতের ভিত্তিতেই নেওয়া হয় সিদ্ধান্ত।
করোনা আতঙ্কে ভারত প্রথম লকডাউন হয় ২১ দিনের জন্য। এতে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ এবং যাতায়াত বন্ধ থাকায় প্রথম দফায় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত হয় আইপিএল। তবে এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও বোর্ড ভেবেছিল, জুনের প্রথম সপ্তাহে ফাইনাল ধরে একমাস মেয়াদে আইপিএল আয়োজনের কথা। নির্দিষ্ট কয়েকটি মাঠে গ্যালারি ফাঁকা রেখেই সব ম্যাচ আয়োজনের কথাও ভাবা হয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ বেড়ে যাওয়ায় তা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বুধবার পর্যন্ত ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১১ হাজার। মৃত্যু হয়েছে চার শতাধিক মানুষের। তাতে লকডাউন কর্মসূচি অব্যাহত দেশটিতে এবং উপায় না থাকায় অনির্দিষ্টকাল স্থগিত আইপিএল, যা স্বাভাবিভাবেই বড় ধাক্কা সংশ্লিষ্ট সবার জন্য। কেননা, যদি শেষ পর্যন্ত আসর বাতিল হয়ে যায় তা হলে মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর এবং ভেস্তে যাবে ক্রিকেটারদের অর্থ আয়ের দারুণ এক সুযোগ।